Header Ads

Header ADS

আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ্ব


চূড়ান্ত অভিজ্ঞতাহীন ব্যক্তি কোনো মন্তব্য করলে মননে আঘাত লাগে। মনের কথায় তখনি রক্তক্ষরণ হয়, যখন মননে আঘাত লাগে। ফেসবুক এবং লেখালেখির সুবাদে অনেক বন্ধুর সাথে আন্তঃআলাপ হয়েছে। নানা বিষয়ের মধ্যে নাস্তিকতা বিষয়টি অন্যতম। যিনি নাস্তিকতায় বিশ্বাস করেন, নিশ্চয়ই ওনার কাছে তার ব্যাখ্যা রয়েছে। আবার অন্য আর একজন আস্থায় বিশ্বাস করেন- কিভাবে, কতোটুকু বিশ্বাস করেন তার ব্যাখ্যাও তার কাছে রয়েছে। 

বিশ্বাস শব্দটি অদৃশ্য। ঈশ্বরের অস্তিত্ব চাক্ষুস না করে, তার থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, কোন কোন ক্ষেত্রে মন কষাকষিও হয়ে যায়। বিষয়টি এ রকম যে, অন্ধকারে যেখানে কোন কিছু দেখা যায় না- এমন এক দিকে তাকিয়ে একজন বললো- নাহ্ কিচ্ছু নেই। পক্ষান্তরে, অন্য আরেক জন কিছু দেখতে না পেয়েও বলছে- আছে। শুরু হয়ে গেলো লড়াই। যুক্তি যুদ্ধ। মূল দ্বন্দ্বটি এখানে। আরও অনেক অনুষঙ্গ যুক্ত করে বিশাল এক তাণ্ডবের সৃষ্টি হয়ে যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে। 

দুই ধরণের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় এনে বিষয়টি দেখা যেতে পারে। অন্ধকারে তাকিয়ে কিছু না দেখতে পয়ে, নাই- না বলে আরও পর্যবেক্ষণে মনোসংযোগ করা যায়। আবার কিছু না দেখতে পেয়েও, আছে- বলে তর্ক না করে অনুসন্ধানে থাকা যায়। 

আমরা কি করি? আমরা কি উন্নত মানসিক অবস্থা ধারণ করতে পেরেছি ?  টুপি পরলে ঈমানদার হওয়া যায় এমন কথা কোথাও পড়ি নি। আবার, টুপি না পরলে মানুষ নাস্তিক হয়ে যায়, তাও কোথায় দেখি নি। আমরা তর্কটা খুব ভালো বুঝি!

যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই- পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। কবি এখানে এই বাক্য দিয়ে কি ইঙ্গিত করেছেন ? তিনি আস্তিক ছিলেন, না কি নাস্তিক ছিলেন ?

-

সাগর আল হেলাল

1 comment:

Powered by Blogger.